নিজস্ব প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার কিশোর আব্দুল্লাহকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার এক বছর পার হলেও বিচার পাননি পরিবার। নিহত আব্দুল্লাহর বাবা লোকমান হোসেন অভিযোগ করেছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়া মডেল থানার সামনে প্রকাশ্যে তার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছেন থানার তৎকালীন এসআই সাহেব আলী। লোকমান হোসেন বলেন, “হাজার হাজার মানুষের সামনে সাহেব আলী আমার ছেলেকে টেনে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। বুকের এক পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।” নিহত আব্দুল্লাহ চর থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং বাবার সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস গেট সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে কাজ করত। লোকমান আরও জানান, “আমি তখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আমার ছেলে ভাত খাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে আন্দোলনে যুক্ত হয়। সেখানে সাহেব আলী তার দুই হাত ভেঙে দেয় এবং পরে বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে।” আব্দুল্লাহ হত্যার ঘটনায় ১৫ আগস্ট কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। এতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১৪ নেতাকর্মী এবং জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করা হয়। আরও ১০-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলার বাদী আব্দুল্লাহর বাবা লোকমান হোসেন হলেও তিনি অভিযোগ করেন, সাহেব আলীর নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে দেওয়া হয়নি। পরে ট্রাইব্যুনালে পৃথকভাবে সাহেব আলী, স্থানীয় সংসদ সদস্য হানিফ, তার ভাই আতা এবং মানব চাকির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন লোকমান। তাঁর দাবি, “সাহেব আলী আওয়ামী লীগ নেতাদের দোসর হয়ে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন – মাদক ব্যবসা, গুম, চাঁদাবাজি, নিরপরাধদের গ্রেপ্তারসহ অনেক কিছু।” নিহত আব্দুল্লাহর বোন রিনা খাতুন বলেন, “আমার ভাইয়ের দুই হাত ভেঙে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সাহেব আলী ও মুস্তাফিজসহ জড়িতদের ফাঁসি চাই।” ফুফাতো বোন মোমেনা খাতুন বলেন, “হাজার হাজার মানুষের সামনে আব্দুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এখনো হত্যাকারীরা পুলিশে চাকরি করছে – এটা কি বিচারব্যবস্থার ব্যর্থতা নয়?”প্রসঙ্গত, সাহেব আলী বর্তমানে খাগড়াছড়িতে কর্মরত বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তার সঙ্গী এসআই মুস্তাফিজকেও পরিবার একইভাবে অভিযুক্ত করেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাহেব আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।তবে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আব্দুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, তদন্ত চলমান রয়েছে। আইন অনুযায়ী আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”নিহত কিশোর আব্দুল্লাহর পরিবার এখনো বিচারের আশায় দিন গুনছে।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |