কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : মোঃ মুনজুরুল ইসলাম
কুষ্টিয়া জেলা জুড়ে পেঁপে চাষে সফলতার গল্প ছড়িয়ে পড়ছে। সদর, মিরপুর, ভেড়ামারা, দৌলতপুর, কুমারখালী ও খোকসা উপজেলার কৃষকেরা পেঁপে চাষে ঝুঁকছেন। মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া এলাকার কৃষক হাফিজুল ইসলাম তাদের মধ্যে অন্যতম, যিনি মাত্র এক বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করে এক লাখ টাকার বেশি আয় করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা শেষে কৃষিকাজে মন দেন হাফিজুল। একসময় তামাক চাষ করলেও কম লাভ ও বেশি শ্রমের কারণে তিনি বিকল্প ফসল খুঁজতে থাকেন। ২০১৯ সালে কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুকেশ রঞ্জন পালের পরামর্শে তিনি বাণিজ্যিকভাবে শাহি জাতের পেঁপে চাষ শুরু করেন। মাত্র ৩-৪ মাসে গাছে ফল ধরতে শুরু করে এবং ৫ মাসের মধ্যেই বিক্রির উপযোগী হয়। হাফিজুল জানান, বিঘা প্রতি প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হলেও আয় হয় ৯০ হাজার টাকার বেশি। এ বছর ৮ বিঘায় চাষ করলেও অতিবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৭ বিঘার গাছ নষ্ট হয়েছে। তবে ২২ কাঠার জমির ৪৩০-৪৪০টি গাছ থেকেই তিনি এরইমধ্যে এক লাখ টাকার বেশি পেঁপে বিক্রি করেছেন এবং আরও ৫০ হাজার টাকার পেঁপে বিক্রির আশা করছেন। বর্তমানে বাজারে পাইকারি দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা, যা কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। স্থানীয় কৃষক মিনহাজ আলী বলেন, হাফিজুলের সাফল্য দেখে তামাকের পরিবর্তে পেঁপে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকেরা। পেঁপে চাষে শ্রম ও খরচ কম, আবার বিক্রিও সহজ। কৃষক আমিরুল ইসলামও আগামী মৌসুমে এক বিঘা জমিতে শাহি জাতের পেঁপে চাষের পরিকল্পনা করেছেন। মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, পেঁপে পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং চাষাবাদ সহজ হওয়ায় কৃষকেরা কম সময়ে ভালো লাভ করতে পারেন। কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সূফি রফিকুজ্জামান বলেন, “আমরা কৃষকদের সার, বীজসহ কারিগরি সহায়তা প্রদান করি। হাফিজুলের সাফল্য দেখে অনেক শিক্ষিত বেকারও এখন পেঁপে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।” পেঁপে চাষের লাভজনক সম্ভাবনা কুষ্টিয়ার কৃষি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা আগামী দিনে আরও বিস্তৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |