কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মোঃ মুনজুরুল ইসলাম

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর চরে বজ্রপাতে দুই কৃষকের ১১টি মহিষ মারা গেছে। এতে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। রবিবার (৩ আগস্ট) ভোরে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বাংলাবাজার এলাকার নওয়াজুদ্দিনের ছেলে নবির আলীর মালিকানাধীন ১০টি মহিষ এবং একই এলাকার এলাহি ঢালির একটি মহিষ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তারা চরের একটি বাথানে একত্রে মহিষগুলো পালন করছিলেন।হঠাৎ করে সৃষ্ট বজ্রপাতের তীব্রতায় মুহূর্তেই মহিষগুলো মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় আশপাশের মানুষ ছুটে এসে তাদের মৃত অবস্থায় দেখতে পান। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নবির আলী জানান, "আমার সবটুকু সম্বল ছিল এই মহিষগুলো। একেকটি মহিষ ২-৩ লক্ষ টাকা দামের। এখন আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।" স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে অনেক কৃষক মহিষ ও গবাদি পশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এমন ক্ষতির মুখে পড়ে তারা সরকারি সহায়তার আশায় রয়েছেন। এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতি পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত চরাঞ্চলের কৃষকদের জন্য নিরাপদ পশু পালন ব্যবস্থা ও আগাম সতর্কতার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।