একেএম নাজমুল আলম
বর্ষাকাল এলেই আমাদের আশপাশের জলাভূমি, ধানক্ষেতের আইল, এমনকি রাস্তার ধারে চোখে পড়ে এক পরিচিত সবুজ — কলমি শাক। গ্রামীণ জনপদের মানুষের কাছে এটি শুধুমাত্র একটি শাক নয়, বরং সহজলভ্য পুষ্টির উৎস ও এক অর্থকরী ফসল। কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ এবং আঁশ। এটি রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং ত্বক ও চোখের জন্য উপকারী। গ্রামীণ নারীদের খাদ্য তালিকায় এটি প্রায় প্রতিদিনই থাকে। কলমি শাক চাষের জন্য কোনো জটিল চাষাবাদ পদ্ধতি প্রয়োজন হয় না। নদীর পাড়, বিল, নিচু জমি, এমনকি পরিত্যক্ত জমিতেও এই শাক খুব সহজে জন্মায়। বীজ ছিটিয়ে দিলেই কয়েক দিনের মধ্যে চারা গজিয়ে ওঠে। মাত্র ২০-২৫ দিনের মধ্যে শাক সংগ্রহ করা যায়। গ্রামীণ কৃষকরা খুব সহজেই কলমি শাক চাষ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে আয় করতে পারেন। রাজধানী ঢাকাসহ শহরাঞ্চলে কলমি শাকের চাহিদা অনেক বেশি। প্রতি কেজি শাক ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়, যা দৈনিক ভিত্তিতে বিক্রি করে আয় করা সম্ভব।প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো কলমি শাক বর্ষাকালে নিজ থেকেই ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি আগাছা হিসেবে জন্মায়, কিন্তু সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে তা একটি লাভজনক ফসলে পরিণত হয়। বদ্ধ পানিতে জন্মানো কলমি শাকে মাঝে মাঝে দূষণ ও কীটনাশকের প্রভাব থাকতে পারে। তাই বাজার থেকে শাক কেনার পর ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।মো. রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার এক কৃষক বলেন, “আগে ভাবতাম কলমি শাক তেমন কিছু না। এখন দেখি শহরে এর ভালো দাম। আমরা এখন জমির পাশে একটু পরিচর্যা করি, এতে বাড়ির জন্যও শাক হয়, আবার কিছু বিক্রিও করি।”প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা এই উপকারী শাক শুধু খাবার হিসেবেই নয়, বরং গ্রামীণ অর্থনীতির সম্ভাবনাময় একটি খাত হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় সরকার চাইলে এর পরিকল্পিত চাষাবাদ করে আরও বড় পরিসরে অর্থনৈতিক সুফল আনা সম্ভব।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |