একেএম নাজমুল আলম
কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে এখন চোখে পড়ার মতোভাবে বাড়ছে ধুনছে চাষ। এক সময় যার ব্যবহার সীমাবদ্ধ ছিল গবাদিপশুর খাদ্য ও মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে, আজ সেই ধুনছে কৃষকদের কাছে হয়ে উঠছে স্বর্ণমূল্যের সমান। এটি মূলত একটি সবুজ সারের উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত। ধুনছে চাষ মাটিতে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে এবং জমির গুণগত মান বৃদ্ধি করে। ফসলের জমিতে ধুনছে চাষ করে সেটিকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে জমি আরও উর্বর হয়ে ওঠে, যা পরবর্তী ধান, গম বা সবজির উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, ধুনছে মাটির জৈব উপাদান বৃদ্ধি করে, আগাছা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং জমির টেক্সচার উন্নত করে। একদিকে এতে কোন অতিরিক্ত কীটনাশক বা রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না, অন্যদিকে পরিবেশের জন্যও এটি অত্যন্ত উপকারী। মিরপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের চাষি আবু হানিফ বলেন, আগে জমি এক ফসলী ছিল, এখন ধুনছে চাষের পর মাটির মান অনেক ভালো হয়েছে। ধান ও সরিষার ফলন বেড়েছে। খরচ কম, লাভ বেশি – তাই আমরা সবাই এখন ধুনছে চাষে উৎসাহিত হচ্ছি।"শুধু জমির উন্নতি নয়, ধুনছে শুকিয়ে গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে। ফলে এটি বাণিজ্যিক দিক থেকেও সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুরের গবাদিপশু খামারিরা ধুনছে ঘাস কিনে নিচ্ছেন পশু খাদ্য হিসেবে। তবে কৃষকরা বলছেন, ধুনছে চাষে সরকারি প্রশিক্ষণ ও বীজ সরবরাহ আরও বাড়ানো হলে কৃষির উৎপাদনব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত হতো। স্থানীয় কৃষি অফিস জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে কিছু প্রণোদনার প্রকল্প হাতে নিয়েছে যাতে ধুনছে চাষ আরও বিস্তৃত করা যায়। আন্তর্জাতিকভাবে যেখানে পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেখানে কুষ্টিয়ার এই ধুনছে চাষ এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায়, পরিবেশবান্ধব কৃষি সম্প্রসারণে এবং কৃষকের লাভবান হওয়ার এক অনন্য পথ হয়ে উঠছে এই ধুনছে চাষ।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |